
‘বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান ও সরকার উৎখাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল বলে যে অভিযোগ, তা অযৌক্তিক। ভারতও এ ধরনের অভিযোগ বিশ্বাস করে না।’
গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও বিভিন্ন কথা বলেন জ্যাক সুলিভান।
সুলিভান বলেন, ‘একজন ভারতীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। স্বীকার করতে অসুবিধা নেই যে এ ধরনের অভিযোগ ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক কিছুটা শিথিল হয়েছে।’
এই অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে বলেও জানান জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে পূর্ণ জবাবদিহীতা চায়। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন প্রশাসনের কাজ শেষ হবে। তবে এ বিষয়ে তদন্তের কাজ অব্যাহত থাকবে।’
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে সাংবাদিকদের একটি নির্বাচিত দলের সঙ্গে কথা বলেন জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যে কৌশলগত বিনিয়োগ করেছিল, তাতে পরিবর্তন এসেছে। আগামীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় এলেও প্রতিরক্ষা বিষয়ক দুই দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করি।’
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসের সাংবাদিক তাঁর কাছে জানতে চান, খালিস্তান আন্দোলনের নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টা, গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে দুর্নীতির অভিযোগ এবং বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল কি না।
এ ছাড়া মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি—এই প্রেক্ষাপটে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য রয়েছে কি না।
জবাবে জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ডিপ স্টেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে এমন ধারণা আমি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল এমন অভিযোগও অযৌক্তিক। ভারতের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি এটুকু বুঝেছি, তারাও এ ধরনের অভিযোগ বিশ্বাস করেন না।’
সম্প্রতি দিল্লি সফর শেষে ওয়াশিংটনে ফিরেছেন জ্যাক সুলিভান।