বুধবার, ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

বাংলাদেশে চালু হলো ‘গুগল পে’

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো গুগলের ডিজিটাল লেনদেন সেবা গুগল...

জুলাইয়ের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক...

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন : উপদেষ্টা ফারুক আজম

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক...

শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট...

বিপিএলে ঢাকার টানা পরাজয়ের রেকর্ড!

ছবি : সংগৃহীত

ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দল কিনেছিলেন শাকিব খান। মাঠের বাইরে রঙিন থাকলেও বিপিএলে শুরু হতেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে থাকে শাকিব খানের মালিকানাধীন ঢাকা ক্যাপিটালস। ম্যাচের পর ম্যাচ খেলেও জয়টা আরাধ্যই থাকে নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

ঢাকা পর্বে ৩টি, সিলেট পর্বে ৩টি- এখন পর্যন্ত মোট ৬টি ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হেরেছে শাকিব খানের দল। আর তাতে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। চলতি বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের ৬ হারসহ বিপিএলে প্রধান কোচ হিসেবে নিজের সর্বশেষ ১৭ ম্যাচেই ডাগআউট থেকে দলকে হারতে দেখেছেন সুজন!

তাতে রেকর্ড বইটাও একটু ঘাটতে হচ্ছে… টি-টোয়েন্টি কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ইতিহাসে কোচ হিসেবে এর চেয়ে বেশি টানা হার কেউ দেখেছেন কি না!

ছবি : সংগৃহীত

শুরুতে বিসিবির সাবেক পরিচালক সুজনের হারের পরিসংখ্যান দিয়েই করা যাক। গত মৌসুমে ঢাকার আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘দুর্দান্ত ঢাকা’র ড্রেসিংরুম সামলানোর দায়িত্বটা ছিল সুজনের কাঁধে। নামের মতোই ঢাকার শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত, সুজনের অধীনে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারায় তারা। কিন্তু এরপর খেই হারায় ঢাকা। টানা ১১ ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে শেষ করে টুর্নামেন্ট।

আগের টুর্নামেন্ট যেখানে শেষ করেছিলেন, নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে ঠিক সেখানেই শুরু করেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি বদল হলেও ঢাকার ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১১ থেকে শুরু করে এবারের ৬ হার মিলিয়ে সুজনের দলের টানা হারের সংখ্যাটা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭তে।

পরিসংখ্যান বলছে, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দল হিসেবে টানা সবচেয়ে বেশিবার হারের রেকর্ডটা অরুণাচল প্রদেশ ক্রিকেট দলের দখলে। ৮ নভেম্বর ২০১৯ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত টানা ৩৯ ম্যাচ খেলে সবগুলোতে হেরেছে দলটি।

ছবি : সংগৃহীত

অরুণাচল যদি এক কোচের অধীনে খেলত, নিশ্চিতভাবে এটাই হতো টি-টোয়েন্টিতে কোচ হিসেবে টানা হারের বিশ্ব রেকর্ড। কিন্তু অরুণাচল কোচ বদলেছে একের পর এক।

হারের যাত্রা শুরু হওয়ার সময় দলটির প্রধান কোচ ছিলেন গুরশরণ সিং। তাঁর অধীনে টানা ১২ ম্যাচ হারের পর ২০২১ সালের আগস্টে ভারতের সাবেক উইকেটকিপার দীনেশ মঙ্গিয়াকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় দলটি। মঙ্গিয়ার অধীনেও টানা ১২ ম্যাচ হারে অরুণাচল। প্রতীক্ষিত জয়ের দেখা না পাওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে রাকেশ শর্মার হাতে দেওয়া হয় অরুণাচলের দায়িত্ব। কিন্তু এতেও ভাগ্য বদল হয়নি দলটির। রাকেশ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত টানা ১৪ ম্যাচ খেলে সবগুলোতে হেরেছে অরুণাচল।

তাতে কোচ হিসেবে টানা হারের রেকর্ডটা যুক্ত হয় রাকেশের নামের পাশে। তবে চলতি বিপিএলে নিজের টানা হারের রেকর্ড ১৭-তে নিয়ে গিয়ে রাকেশ শর্মাকে পেরিয়ে গেছেন সুজন।

ছবি : সংগৃহীত

অরুণাচলের পর টি-টোয়েন্টিতে টানা ২৭ ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের দল কোয়েট্টা বিয়ারস ক্রিকেট দল। এ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ২০০৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একাধিক কোচের অধীনে টানা ২৭ ম্যাচ হারে। টানা ২৩ হার নিয়ে পরের অবস্থানে মিজোরাম (২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত)। কোয়েটার মতো মিজোরামও একাধিক কোচের শরণাপন্ন হয়ে ভাগ্যদেবীকে পাশে আনার চেষ্টা চালিয়েছিল।

ইন্টারনেটে যতদূর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আপাতত ঘরোয়া বা ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে টানা হারের রেকর্ডে খালেদ মাহমুদ সুজনের ওপরে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না!

বিপিএলের প্রথম মৌসুম থেকেই কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সুজন। ২০১২ সালে উদ্বোধনী মৌসুমে চিটাগং কিংসের দায়িত্বে ছিলেন। সেবার ৬ দলের টুর্নামেন্টে ৫ নম্বর হয়ে মৌসুম শেষ করে চিটাগং। ২০১৩ বিপিএলে বরিশাল বার্নার্সের সহকারী কোচের ভূমিকায় ছিলেন। সেবার ৭ দলের টুর্নামেন্টে ৬ষ্ঠ হয়েছিল বরিশাল। তবে ২০১৬ সালে সুজনের অধীনে বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা ডায়নামাইটস। সেই একবারই শেষ। এরপর সময় গড়িয়েছে, কিন্তু সাফল্য যেন আরাধ্য হয়ে থাকে সুজনের জন্য!

খেলোয়াড়ি জীবনেও একটা অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড যুক্ত আছে সুজনের নামের পাশে। ২০০৩ সালে সুজনের অধিনায়কত্বে ১৫ ওয়ানডে খেলে সবগুলো ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। জাতীয় দলকে অন্তত ১০ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যে শুধু সুজনের নেতৃত্বেই ওয়ানডেতে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক হিসেবে ৭ ওয়ানডে খেলেও জয়হীন থেকে এ তালিকায় দুই নম্বরে গাজী আশরাফ।

শুধু ওয়ানডে নয়, ২০০৩ সালে সুজনের অধীনে টেস্টেও সবগুলো ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। লাল বলে অবশ্য এ তালিকায় তিনে আছেন তিনি। মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা ১৩ টেস্ট হেরেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া খালেদ মাসুদ পাইলটের অধীনে হেরেছিল টানা ১২ টেস্ট।

তথ্যসূত্র: ইনডিপেনডেন্ট

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় জমায়েতের আশঙ্কা করেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা...

কুইন্স কাপ জয় আলকারাসের

উইম্বলডনের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামার আগে প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত...

এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে আজ রাতে মিয়ানমার যাচ্ছে নারী দল

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের জন্য ২৩ সদস্যের দল...

নোয়াখালীতে ১১ মাদকসেবীর কারাদন্ড

নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির...