
কয়েক দফা সময় পেছানোর পর চলতি বছরের জুন মাস থেকে শতভাগ পানি সরবরাহে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প। এর আগে গত ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছিল প্রকল্পটি। এটি চূড়ান্ত উৎপাদনে গেলে ১০ হাজার গ্রাহকের পাশাপাশি পানি সরবরাহ হবে বিভিন্ন কলকারখানায়।
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার মাঝে ভান্ডালজুড়ি পাহাড়ি এলাকা। নদীর তীর ও পাহাড়ের পাদদেশে ৪১ দশমিক ২৬ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ২০১৬ সালে প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ভূমি জটিলতায় তা শুরু হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। নির্মাণ শেষে গেল ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে ওয়াসা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, আশপাশের বিভিন্ন কলকারখানার পাশাপাশি অন্তত ১০ হাজার গ্রাহকককে সরবরাহ করা হবে পানি। আগামী জুনের মধ্যেই এই শোধনাগার শতভাগ চালু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৯৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে ১১৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার, ৮২৪ কোটি ৫০ লাখ কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক এবং ২০ কোটি টাকা দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।