নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকার সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেক সাংবাদিককেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা এমন দেশ চাই না যেখানে সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক বা প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে পালিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে লেখক সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত লেখক ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মঞ্জু বলেন, আপনারা এই দেশ, এই সমাজের আয়না। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের কাছে নতুন করে দেশ গড়ার সঠিক ভূমিকা চাই। আমরা চাই বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে আপনারা সৃষ্টিশীল দৃঢ় ভূমিকা রাখুন।
সভায় কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, শেখ মুজিব সংগ্রামী নেতা হলেও তিনি বড় মাপের ফ্যাসিবাদের প্রতীক। দুর্ভাগ্যের বিষয় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরও ফ্যাসিবাদের এই প্রতীক উপদেষ্টাদের মাথার ওপর ঝুলছে। তারা সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকার গনঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী সরকার। এই সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ এই সংবিধানকে ফেলে দিয়ে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন রেখে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। কারণ এই সংবিধান দেশের ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেনা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নিলে রাষ্ট্রের বেশির ভাগ সমস্যা সমাধান হবে উল্লেখ করে প্রবীণ লেখক সৈয়দ তোশারফ আলী বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। আমরা একে স্বাগত জানাই সাথে সাথে এটাও বলতে চাই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দুর্নীতি।
তিনি বলেন, দেশ তখনই সঠিকভাবে চলবে যখন আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এটা কাগজ কলমে নয়, বাস্তবিক অর্থেই সরকার করবে। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে সঠিকভাবে চালাতে হলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সাংবাদিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিকসহ সবাইকে সঠিক ভূমিকা রাখতে হবে। সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে হবে। সত্য লিখতে হবে। ব্যক্তি বা দলীয়স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে রাষ্ট্রকে কোন সময়ই সঠিকভাবে চালানো সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় আরও বক্তব্য দেন জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম. আব্দুল্লাহ, সাংবাদিক ও গবেষক কবি শামীমা চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ পলি, সিনিয়র সাংবাদিক নাসরিন গীতি।