
টি-টোয়েন্টিতে যেন নিজেকে নতুন করে মেলে ধরেছেন তামিম ইকবাল বিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে সেভাবে রান না পেলেও সিলেটে আজ দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষেই নিজের বিধ্বংসী রূপ দেখালেন ৩৫ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনার। ১১ চার ৩ ছক্কায় ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৬ রান তামিমের, অধিনায়কের এমন অসাধারণ ইনিংসেই রাজশাহীর ১৬৮ রান ৭ উইকেট আর ১৫ বল হাতে রেখে পেরিয়ে গেছে ফরচুন বরিশাল।
আগে ব্যাট করে জিশান আলম ও ইয়াসির আলীর আগ্রাসী মধ্য ত্রিশের ইনিংসের পাশাপাশি এনামুল হক বিজয়ের শুরুতে থার্ড গিয়ারে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ফার্স্ট গিয়ারে নেমে আসা মধ্যে ত্রিশেরই ইনিংসে রাজশাহী তুলেছিল ১৬৮ রান। জবাবে তামিম এমনই পিটিয়েছেন যে, শুরু থেকেই রানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়ানো বরিশালকে দেখে মনেই হয়নি তারা হারতে পারে।

চতুর্থ ওভারে প্রীতম কুমারকে (৩) হারানো বরিশালের হয়ে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নিয়েছেন তামিম। প্রথম ৭ বলে মাত্র তিনটি সিঙ্গেল নিয়েছিলেন। তবে তিনে নামা কাইল মায়ার্সও ১১ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ২৪ রানের ক্যামিও একদিকে বরিশালের রানের চাকায় গতি জোগাতেই তামিমও হয়ে উঠলেন বিধ্বংসী। মুখোমুখি অষ্টম বলে তাসকিনকে ছক্কা মেরে ঝড়ের শুরু করা তামিম পঞ্চম ওভারে শফিউলকে মেরেছেন টানা তিন চার, পরের ওভারে শেষ দুই বলে টানা দুই চার মেরেছেন মোহর শেখকে।
তামিম আর মায়ার্সের এই ঝড়ের কারণেই পাওয়ার প্লে-র শেষ ও ষষ্ঠ ওভারে মায়ার্স ফিরে গেলেও বরিশালের রান ততক্ষণে হয়ে গেছে ৬২, তামিমের রান তখন ১৬ বলে ৩০। চারে নামা তাওহীদ হৃদয় অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, দশম ওভারে আউট হয়ে গেছেন ১৪ বলে ১৩ রান করে।

তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলে রায়ান বার্লের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২৮ বলে ফিফটিতে পৌঁছানো তামিমের থামার কোনো নামগন্ধ থাকলে তো! পাঁচে নেমে মুশফিকুর রহিমও যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তামিমকে।
১২তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় সেঞ্চুরি পেরোনো বরিশালের হয়ে মুশফিক ও তামিম চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন ৪৫ বলে ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। মুশফিক শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন, আর তামিম অসাধারণ ইনিংসে মুকূট যোগ করেছেন ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করে।
বিপিএলের আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে চার ইনিংসেই দুটি ঝোড়ো ফিফটি দেখেছে তামিমের ব্যাট। এখন বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতে তিনি কি করেন, প্রত্যাশার বিরাট ঝুলি মেলে সে পানেই তাকিয়ে থাকবেন তাঁর ভক্তরা।