
বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচেই আউট শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ছন্দে থাকা জিশান আলমকে। তবে শূন্যের হ্যাটট্রিক হওয়ার হাত থেকে বেঁচেছেন বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর ওপেনার জিশান।
সিলেটে আজ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২৭ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস এসেছে জিশানের ব্যাট থেকে। তাঁর পাশাপাশি অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও চারে নামা ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকেও দুটি মধ্য ত্রিশের ইনিংসের সৌজন্যে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান পেয়েছে রাজশাহী।

প্রসঙ্গত, এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে জিশান সিলেট বিভাগের হয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটাই করেছিলেন ৫৩ বলে ১০০ রানের ইনিংসে, এরপর দুটি ফিফটিও পেয়েছেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে উঠে আসা বাঁহাতি ওপেনার বিপিএলে কী করেন, তা নিয়ে তাই আগ্রহ সবার।
বরিশালের কাছে হার দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করা রাজশাহী নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে। আজ বরিশালের বিপক্ষে অবশ্য তাদের শুরুটা হয়েছে বেশ ভালো। চতুর্থ ওভারে ভাঙার আগেই ওপেনিং জুটিতে আসে ৩০ রান। তানভীরের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মোহাম্মদ হারিস করেন ১৬ বলে ২২ রান।
জিশান অবশ্য তখনো চালিয়ে খেলেছেন। ফলে পাওয়ার প্লে-তে ৬ ওভারে ৬০ রান পায় রাজশাহী। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে শেষ পর্যন্ত যখন জিশান আউট হলেন ফাহিম আশরাফের বলে, ততক্ষণে রাজশাহীর রান ৮৫। তবে জিশানের বিদায়ের পর কিছুটা গতি কমে রাজশাহীর।
তৃতীয় উইকেটে বিজয় আর ইয়াসির শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়লেও শুরুতে রানের জন্য ধুঁকেছেন তাঁরা। একটা সময়ে তো ২৩ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি রাজশাহী – ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৩.৫ ওভারই বাউন্ডারিছাড়া!

নিজের প্রথম ১১ বলে ৭ রান করা ইয়াসির তাঁর ইনিংসের ২ চার আর ৩ ছক্কার সবগুলো মেরেছেন ১৫ বলের মধ্যে। ২৩ বলে ৩৭ রান করে তিনি বিদায় নেন ১৬তম ওভারের প্রথম বলে, শাহিনের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে। এরপর বিজয়ের দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজশাহী, কিন্তু নিজের ইনিংসের ৫ চারের সবগুলোই নবম ওভারের মধ্যে মেরে ফেলা বিজয় এরপর আর বাউন্ডারিই পাননি। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে পঞ্চম চারটি মারার সময়ে বিজয়ের রান ছিল ১১ বলে ২১, শেষ পর্যন্ত ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি আউট হলেন ৩৫ বলে ৩৯ রান করে।
বিজয় দলকে ১৪৯ রানে রেখে আউট হয়েছেন, শেষ দিকে বার্ল একটি চার আর আকবর আলী একটি ছক্কা মেরে রাজশাহীর রান ১৭০-এর কাছে নিয়ে গেছেন।