
মিয়ানমারে জান্তা শাসক-আরাকান আর্মি সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৩৫ লাখ মানুষ। এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১৫ লাখ বেশি। গেলো শুক্রবার উদ্বেগজনক এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া সামনের দিনগুলোতে এই সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে, মিয়ানমারের সংঘাত সীমান্ত থেকে দেশব্যাপী বেশির ভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে নিরাপত্তার সন্ধানে এবং মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য রেকর্ডসংখ্যক লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।

ওসিএইচএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এ হার দেশটির ৫ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৬ শতাংশ। দেশটির বিভিন্ন এলাকাতেই বাস্তুচ্যুতির এ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু।

২০২৫ সালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংঘাত, বিপর্যয়, মহামারি, ব্যাপক বিস্ফোরক, অস্ত্র ও অর্থনৈতিক পতনের কারণে মিয়ানমারে অভূতপূর্ব মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। এ বছর ১ কোটি ৯৯ লাখ মানুষের, অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ জনগণের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি সরকারের কাছ থেকে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই অস্থিরতা চলছে সেখানে। মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে বিদ্রোহীরা। ২০২৪ সালে তা তীব্র আকার নেয়। সম্প্রতি দেশটির একের পর এক অঞ্চল দখলে নিচ্ছে বিদ্রোহীরা।