
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য প্রথম দফায় গঠিত ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ, পুলিশ, নির্বাচন, দুদক এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়ার সময় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সময় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীসরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় ড.বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড: ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড: শাহদীন মালিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম বাদ দিয়ে এ কমিশনের প্রধান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেয় সরকার।
কমিশনকে সংশ্লিষ্ট সকল মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছিল।
সংস্কার কমিশন গঠন করে দেওয়া পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন ৩ অক্টোবর হতে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করবে। সকল রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করার কথা ছিল সংস্কার কমিশনগুলোর। তবে, নির্ধারিত সময়ে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিতে না পারায় সে সময় বাড়ানো হলো।