বুধবার, ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

ফের ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

দুই দিনের বিরতির পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা...

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে রিয়্যাক্টর কন্টেইনমেন্টের পরীক্ষা সম্পন্ন

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় চলছে দেশের সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ...

নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র হচ্ছেন জোহরান

নিউইয়র্ক সিটির চারশ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ডেমক্র্যাটিক পার্টির...

ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্টকে যা বললেন সৌদি যুবরাজ

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আঞ্চলিক ঐক্যের জন্য ইরানের...

কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর তাঁর বাংলাদেশে আসার তারিখ অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে তাঁকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটি সবার অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও স্বীকৃত। বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে তাঁর ঢাকায় আগমনের তারিখ থেকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে আসছিল। উপদেষ্টা পরিষদ প্রত্যাশা অনুযায়ী এ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে সরকারি উদ্যোগে সপরিবার ঢাকায় আনা হয়। তাঁর বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এরপর ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। একুশে পদক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মানসূচক পদক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অন্যান্য ব্যক্তির সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামকে সম্মানসূচক ডি–লিট উপাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) এক সমাবর্তন উৎসবে এ উপাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অসুস্থতার জন্য তাঁকে এ উৎসবে আনা সম্ভব হয়নি। পরে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গভবনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামকে ডি–লিট উপাধিতে ভূষিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী নজরুলের উদ্দেশে একটি মানপত্রও পাঠ করেন।

কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

সন্ধ্যায় তেহরান থেকে রওনা দেবে বাংলাদেশিদের প্রথম দল

ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রথম দফায় ৩৫ জন বাংলাদেশি...

ফের ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

দুই দিনের বিরতির পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা...

সেতু থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সেতু থেকে পড়ে নুরুদ্দিন (১৭) নামে এক...

টেলিগ্রামে প্রেম : মাদরাসা ছাত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি, গ্রেপ্তার এক

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক কিশোরী মাদরাসা ছাত্রীকে (১৭) প্রেমের...