
দেশ জুড়ে বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় মুরাল ও ভাস্কর্য তৈরি করে সরকারি টাকা অপচয়ের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সংস্থাটি। পাশাপাশি পতিত সরকারের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা ও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ভাস্কর্য ও ম্যুরাল করে সরকারি অর্থ অপচয় ও তছরুপের অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তা বাদে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নের নামে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘দেশজুড়ে মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপ, অতিরিক্ত বিল দেওয়া, গভীর নলকূপের দুই-তৃতীয়াংশ বিকল ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।`

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত এসেছে। এছাড়া বিএফআইইউ’র সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধেও মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে প্রায় ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন এমন আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায়ও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এছাড়া ঋনের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।