মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টি ঝরতে...

আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, 'আমি গভীর তাগিদ...

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি বংশোদ্ভূত অভিনেত্রীর উদ্বেগ

ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে...

দেশে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ জন হাজি

হজপালন শেষে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত...

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের স্বাস্থ্যকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

ছবি : সংগৃহীত

বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে এই সুবিধা পাবেন।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অভ্যুত্থানে আহত দুজন শিক্ষার্থীর হাতে হেলথকার্ড তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। তারা হলেন— নরসিংদী ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ইফাত হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমু।

গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় নরসিংদীতে পুলিশের গুলিতে দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান ইফাত। তিনি এখনও এক চোখে দেখতে পান না। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ইসরাত বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের দুজনের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসাসেবা ও অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট জেলায় হেলথকার্ড বিতরণ করা হবে।

এ সময় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টাকে চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ১ হাজার ৭৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জনের দু-চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। অন্তত ৪৫০ জনের এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, চোখের ইনজুরির জন্য অন্তত ৬৫০ অপারেশন করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৩০০ বেশি রেটিনা সার্জারি হয়। চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বাইরে দুটি হাসপাতালে ৬০ জন রোগীর অপারেশন হয়েছে। কোনো কোনো রোগীর তৃতীয় ধাপেও অপারেশন প্রয়োজন পড়েছে।

এখন পর্যন্ত চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৬৫ জন রোগীর চোখ ভালো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবুল কেনান প্রধান উপদেষ্টাকে তার হাসপাতালের চিকিৎসার অগ্রগতি জানিয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে ২১ জন রোগীর হাত অথবা পা কেটে ফেলতে হয়েছে। কয়েকজন রোগীকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে।

হেলথকার্ডের উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই হেলথকার্ড থাকার অর্থ হলো এক বছর পরে হোক, দু’বছর পরে হোক যেকোনো সময় দেশের যেকোনো সরকারি হাসপাতালে কার্ডধারীরা চিকিৎসা পাবেন। এ কার্ড সবসময়ই থাকবে।’

চিকিৎসাধীন অধিকাংশ রোগীই ধীরে ধীরে সুস্থ হবে এবং তাদের কেউ মৃত্যু ঝুঁকিতে নেই বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

পাইরেসির বিরুদ্ধে শাকিবের দৃঢ় অবস্থান

এবারের ঈদে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক...

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টি ঝরতে...

আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, 'আমি গভীর তাগিদ...

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)...