
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর প্রতিবেশীর কক্ষের ওয়্যারড্রোব থেকে তিন বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে নিহত শিশুর মা-সহ দুজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে বাবুল মিয়া বিদেশ যাওয়ার পর তার স্ত্রী ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হাসান মিয়া (৩৫)। তার কক্ষের ওয়্যারড্রোব থেকে আজ সকালে পুলিশ সাহালের লাশ উদ্ধার করে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পঞ্চবটী এলাকার দীন মোহাম্মদের বাসার ভাড়াটিয়া হাসান মিয়ার কক্ষ থেকে সাহালের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার কাতারপ্রবাসী বাবুল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় শিশু সাহাল নিখোঁজ হলে তার মা মোমেনা বেগম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে ভৈরব থানা-পুলিশ দীন মোহাম্মদের বাসায় গিয়ে হাসান মিয়ার কক্ষটি বন্ধ পায়। পরে তার ফোন নাম্বারে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে পুলিশ ওয়্যারড্রোবে নিচে সাহালের জুতা দেখতে পায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওয়্যারড্রোবে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায় সাহালের লাশ।
এ ঘটনার পর পঞ্চবটী এলাকার একটি বাসা থেকে হাসানকে আজ সকালে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে দুপুরে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন বলেন, আটক ভাড়াটিয়া হাসান ও শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে শিশুটিতে হত্যা করা হয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বলা যাবে না।