
ভাঙচুর সঙ্গী করেই উদ্বোধন হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- বিপিএল এর। উদ্বোধনী দিনের টিকিট না পেয়ে রোববার বিসিবির গেইটে বিক্ষোভ করেন দর্শকরা। সেই উত্তেজনা ম্যাচের দিনও ছড়ালো, আরও বেশি মাত্রায়। উত্তেজিত দর্শক বিসিবির মূল গেইটে ভাঙচুরও করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচের ঘণ্টা দুয়েক আগে মিরপুরের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে গেইট ভাঙার চেষ্টা করেন দর্শকরা। এই সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যানার-ফেস্টুনও ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এতে বিসিবির মূল ফটক বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনী। এই সময় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম জানা যায়নি। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর সারিবদ্ধ হয়ে দর্শকদের গ্যালারিতে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ম্যাচ শুরুর আগে সাদা বেলুন উড়িয়ে সারা হয় আনুষ্ঠানিকতা।
টিকিট নিয়ে উত্তেজনা শুরু পেছনে তথ্য ঘাটতি ও অব্যবস্থাপনা বড় কারণ। টিকিট কত ভাগ অনলাইনে, কত ভাগ কোথায় থাকবে তা জানাতে দেরি হয়েছে। রোববার মধুমতি ব্যাংকের কথা জানানো হয়। এই ব্যাংকের মিরপুর ১১ নম্বর শাখার রোববার সন্ধ্যায় টিকিট নিয়ে উত্তেজনার খবর মিলেছে।

গত অক্টোবরে এবার বিপিএলের সব টিকেট অনলাইনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিসিবি। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও সেটা গতকাল বিক্ষোভের আগে জানানো হয়নি। দর্শকদের বিক্ষোভের পর বিসিবি জানায়, ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ টিকিট থাকবে অনলাইনে। বাকি টিকিট মধুমতি ব্যাংকের কয়েকটি শাখায় পাওয়া যাবে। কিন্তু ব্যাংকের শাখাতেও পর্যাপ্ত টিকিট না পেয়ে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়।