
কানাডায় ত্রুটিপূর্ণ অবতরণের সময় একটি ফ্লাইটে আগুন লেগেছে। কানাডার জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইট দেশটির বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যার কারণে এটি একপাশে কাত হয়ে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি ও আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সেন্ট জনস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হওয়া এয়ার কানাডার ২২৫৯ ফ্লাইটটির ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে দেশটির হ্যালিফ্যাক্স স্ট্যানফিল্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। এ ঘটনার পরই ফ্লাইটের আরোহীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। এরপর সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নিকি ভ্যালেন্টাইন নামে এক যাত্রী সিবিসি নিউজকে জানান, অবতরণের সময় প্লেনের একটি টায়ার ঠিকমতো কাজ করেনি। ঘটনাস্থল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে সেটি ফ্লাইটের আরোহী কোনও যাত্রীই ক্যামেরাবন্দি করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রানওয়ে ধরে দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে বিমানটি। আচমকা সেটি কাত হয়ে গেল একদিকে। তাতে বিমানের ডানাটির সঙ্গে রানওয়ের ঘষা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় ডানায়। সেই অবস্থাতেই দ্রুত ছুটে চলে বিমানটি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটির বয়স প্রায় ২৪ বছর। প্রাট ও হুইটনে ইঞ্জিন রয়েছে বিমানটিতে। এয়ার কানাডার সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওই ফ্লাইটটি পরিচালনা করছিল পাল এয়ারলাইন্স। এটি পূর্ব কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা। নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডরের সেন্ট জনস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংস্থাটির সদর দপ্তর অবস্থিত।
এদিকে এই ঘটনায় ফ্লাইটের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, আঞ্চলিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের প্রক্রিয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ল্যান্ডিং গিয়ারে কী সমস্যা হয়েছির, জরুরি ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হবে।