
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে কৃষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। হামলায় আহত কৃষকরা হলেন, জসীম উদ্দিন ও তার ছেলে রোকাম হোসেন।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন, বুড়ির ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি রুবেল উদ্দিন রনি ও একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ কামার। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিক জসীম উদ্দিনের বর্গা চাষীকে ধান চাষ করতে বাধা দিয়ে আসছিলেন যুবদলের এই দুই নেতা। তারা জমির বর্গা চাষীকে তার ধান ও কাটতে দিচ্ছেন না। এজন্য তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন তারা। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভুক্তভোগী কৃষক জানান, জমির সঙ্গে এই দুই নেতার কোনও সম্পর্ক না থাকলেও তারা জোর করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি ও তার ফসল দখল করে নিতে চাচ্ছেন। সাগরিয়া ফাড়ির পুলিশের নাম ব্যবহার করে থানায় বৈঠকের কথা বলে শুক্রবার সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে জসীম উদ্দিন ও তার ছেলে রোকাম হোসেনকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রভাত প্রভাকরের সামনে তাদের যুবদলের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন বেধড়ক পেটান।
এই বিষয়ে বুড়িরচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রুবেল উদ্দিন রনি বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি থানায় মীমাংসা করতে গিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। বুড়িরচর বিশাল বড় ইউনিয়ন। এখানে শান্তিশৃঙ্খলায় কাজ করতে গেলে একটু নিয়ম অনিয়ম হবে এটা স্বাভাবিক। এজন্য আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রভাত প্রভাকর জানান, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমাদের গেটের সামনে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। শুনেছি, রুবেল উদ্দিন রনি তৃতীয় পক্ষ হয়ে জসিমের ওপর হামলা করেছে।