
নড়াইলে গণধর্ষণের শিকার এক নারী (৫০) ইউপি সদস্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গণধর্ষণের পর ওই ইউপি সদস্যের মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নিহতের পরিবার।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ নড়াইলে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। তিনি সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
নিহতের ছেলে ও পরিবারের দাবি, ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে টিসিবির মালামাল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় এক যুবক ফোন করলে পাওনা টাকা আনতে যান ওই ইউপি সদস্য। পরে একটি বাড়িতে নিয়ে ওই যুবকসহ কয়েকজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী বিষয়টি জানিয়ে দেবে বললে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন বুধবার সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তিনি ছেলের কাছে তার সঙ্গে ঘটা নির্যাতনের বর্ণনা দেন ও জড়িতদের নাম বলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ নড়াইলে পৌঁছায়।
নিহতের ছেলে বলেন, মায়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে আমার হাতের ওপর মা মারা যান। আমার মায়ের সঙ্গে যারা এসব করছে, আমি সেই দোষীদের কঠিন বিচার চাই, ওদের ফাঁসি চাই। আমার মা যেন সুষ্ঠু বিচার পাই। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।
এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে ধর্ষণ করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষত ছিল। আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ওই নারীর পেটে বিষ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আমরা তদন্ত করছি, আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।