
মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপলজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছেলেসহ এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও পাঁচজন।
বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে আজ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতেরা হলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আখতার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সঙ্গে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আখতার শিকদারের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ নিয়ে এর আগে এলাকায় বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার মামলায় দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া ছিলেন আখতার শিকদারের পরিবার।

বৃহস্পতিবার রাতে আখতার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার এলাকায় ফিরলে বেশ কিছু হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়। পরে দুপক্ষের লোকজন রাতভর সংঘর্ষে জড়ায়।
খাসের হাট সেতুর কাছে সংঘর্ষে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আখতার শিকদার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারসহ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসক মারুফকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা তাঁদের হত্যা করেছে তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি পুলিশ। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।`