
কাজ়াখস্তানে আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের ইআরজে-১৯০ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবারের এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন লেগেছিল। এরপর দমকলকর্মীরা আগুন নিভিয়ে বিমানের মধ্যে থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে। তারা তিন শিশুসহ ২৭ জনকে ওই বিমান থেকে উদ্ধার করে। যাদের সবার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কোপন্ন।
কাজ়াখস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, মাঝ আকাশে একঝাঁক পাখির সাথে ধাক্কা লেগে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকেও প্রথমে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পাখির কথা বলা হয়। পরে অবশ্য বিমান সংস্থাটি জানায়, তারা এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাবে না।
এদিকে, প্রকাশ্যে এসেছে দুর্ঘটনার ঠিক আগের এবং পরের মুহূর্তের ভিডিও। এক যাত্রীই প্রায় দেড় মিনিটের এই ভিডিওটি রেকর্ড করেন। এতে দেখা যাচ্ছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা বাঁচার জন্য প্রার্থনা করছেন। ঝাঁকুনির জেরে অনেকেই আসন থেকে ছিটকে পড়েন।
রুশ সংবাদমাধ্যম ‘আরটি’ এর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন যাত্রীর মাথা থেকে রক্ত ঝরছে। কেউ কেউ বিমান থেকে নামার জন্য চিৎকার করছেন।
বিমানটির গন্তব্য ছিল রাশিয়া। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৩টে ৫৫ মিনিটে আজ়ারবাইজানের বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজ়নির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ওই বিমান। কিন্তু মাঝ আকাশে পাইলট খবর পান, গ্রজ়নিতে ঘন কুয়াশা রয়েছে। তাই সেখানে বিমান অবতরণে সমস্যা হতে পারে।
এরপর কাজ়াখস্তানের আকতুতে ওই বিমানের জরুরি অবতরণ করানোর চেষ্টা করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল কিন্তু সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান।