
খেলাধুলায় জড়িত পরিবারের ছেলে জাকের আলী অনিকের জাতীয় ক্রিকেট দলে আবির্ভাব হয়েছিল নাটকীয়ভাবে। আরেকজনের ইনজুরিতে কপাল খুলেছিল তার। সুয়োগ হাতছাড়া করেননি জাকের। অভিষেক ম্যাচেই ঘরের মাঠ সিলেটে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন। সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবীয় সফরে বাংলাদেশের পারফর্মার জাকের। উইন্ডিজের সাথে সবশেষ টিটোয়েন্টি সিরিজে বোলারদের কচুকাটা করেছেন জাকের।
নিজ শহরে একসময় জাকেরের পরিচয় ছিল শাকের আলী অপুর ছোট ভাই হিসেবে। বিভাগীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন অপু। হবিগঞ্জ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ‘শাকিলা ববির ভাই’ হিসেবেও কেউ কেউ চিনতো। ক্রিকেট ছেড়ে ববি এখন পুরোদস্তুর সাংবাদিক। টাইগার হিটারের আরেকটি পরিচয় জাতীয় শুটার নাফিসা তাবাসসুমের স্বামী সে। তার বাবা ছিলেন আর্মিতে, খেলেছেন বাস্কেটবলসহ সব ধরনের খেলা।
নাফিসা তাবাসসুম বছর চারেক আগেই জাতীয় শুটার হয়েছেন। তিনিও অপেক্ষায় ছিলেন স্বামীকে জাতীয় দলে দেখার। এয়ার রাইফেল ইভেন্টে নারী বিভাগে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা নাফিসা। ২০২২ এ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গ্র্যা প্রি আইএসএসএফে তিনি ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। মিশ্র ইভেন্টে পেয়েছিলেন রৌপ্য। ২০২৩ সালে চীনের হাংজুতে এশিয়ান গেমসেও খেলেছেন।
দুজনের পরিচয় ও মর্যাদা প্রায় সমান হলেও সুযোগ-সুবিধায় তারতম্য শুটিং ও ক্রিকেটে। ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি ও ম্যাচ ফি’র সম্মানী অনেক বেশি। অন্যদের চেয়ে ক্রিকেটারদের ব্যস্ততাও অনেক। বিপিএল, ঢাকা লিগ ও জাতীয় লিগসহ নানা টুর্নামেন্ট বছর জুড়ে। এরপরও সুযোগ মিললেই জাকের হাজির গুলশান শুটিং কমপ্লেক্সে। তবে নাফিসা নিয়মিত মিরপুরে যেতে না পারলেও জাকেরের খেলা মাঠ থেকে দেখার চেষ্টা করেন। নিরুপায় হলে চোখ রাখেন টিভির পর্দায়।
এবার একটু পেছনের গল্প… শুটার-ক্রিকেটারের মেলবন্ধনের শুরুটা বিকেএসপি। জাকের নাফিসার চেয়ে তিন বছরের বড়। বিকেএসপিতে থাকার সময় মন দেওয়া-নেওয়া। পাঁচ বছর পর ২০২০ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন দুজন।