মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে শো করতে গিয়ে হোটেল রুমে ঢুকে সংগীতশিল্পী হানি সিংকে থাপ্পড় মেরেছেন শাহরুখ খান। ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে বছর কয়েক আগে এমন খবর বেরিয়েছিল। ঘটনাটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল।
শুধু তাই নয়, সে সময় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এমন দাবিও করেছিল- হানি সিংকে শাহরুখ এত জোরে চড় মারেন, যে আহত হন গায়ক। তার কপাল ফেটে নাকি অঝোরে রক্তও বেরিয়েছিল।
যে কারণে সেদিন আর মঞ্চে পারফর্ম করতে পারেননি হানি। সেই সময় এই ঘটনা নিয়ে বি-টাউনে আলোচনা হয়েছিল প্রচুর। এবার সেই ঘটনার ৯ বছর পর, ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন, তা নিয়ে মুখ খুললেন হানি সিং। প্রকাশ্যে আনলেন রটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে হানি সিংয়ের জীবনের উপর তৈরি তথ্যচিত্র ‘ইয়ো ইয়ো হানি সিং’। সেই তথ্যচিত্রেই আসল গল্পটা ফাঁস করলেন হানি সিং।
গায়ক জানালেন, ‘শাহরুখ কখনই আমার গায়ে হাত তুলবেন না। উনি এমন মানুষই নন। আমাকে খুবই ভালোবাসেন কিং খান। আমাদের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তাই শাহরুখ আমাকে মেরেছে, সেটা একেবারেই মিথ্যা।’
এরপর সেই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন হানি। বলেন, ‘যখন আমাকে শিকাগো গিয়ে শো করতে বলা হয়েছিলো, আমি রাজি হইনি। আমার মনে হয়েছিল, ওই শোতে গেলে আমি আর ফিরবো না। আমাকে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু সবাই আমাকে জোর করছিল। তারা বলছিল আমার শো করতে যাওয়া উচিত।
এরপর আমার ম্যানেজার এসে বারবার তাড়া দিচ্ছিল যে, কেন আমি রেডি হচ্ছি না। আমি যাচ্ছি না, এটা তাকে জানিয়ে দিলাম। এরপর ট্রিমার নিয়ে ওয়াশরুমে গেলাম। আমার মাথার সব চুল কামিয়ে ফেললাম। বাইরে এসে তাদের বললাম, ‘দেখো, আমি কীভাবে এখন শো করতে যাবো?’ আমার ম্যানেজার বললো, ‘মাথায় ক্যাপ পরে চলে যাও।’ হাতের কাছেই একটা কফির মগ ছিলো। মগটি নিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলাম এবং মাথা ফেটে গেল!’
তথ্যচিত্রটিতে হানি সিংয়ের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, তার বোনও। তিনি জানান, ‘এই ঘটনার পরই মাথায় রক্ত নিয়ে ফোন করে হানি। আমরা তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর নেপথ্যে শাহরুখের কোনও দোষ নেই।’