জামালপুরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে কারাগারে আটক থাকা এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে জামালপুর সদর পৌরসভার যোগীরঘোপা এলাকায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি নাশকতার মামলায় জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। এ সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামালপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন আনিছুর রহমান। ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে সদর থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। গৃহকর্তার অনুপস্থিতির সুযোগে মুখোশ পরা ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্র হাতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আনিছুর রহমানের বাসায় হানা দেয়।
আনিছুর রহমানের স্ত্রী চায়না বেগম জানান, শব্দ শুনে তিনি এবং তাঁর দুই ছেলে ভয় পেয়ে যান। ডাকাতেরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরে অস্ত্র আছে অভিযোগ তুলে তল্লাশি করতে চান। একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলেন। আনিছুর রহমানের স্ত্রী চায়না বেগমের দুই কান ছিঁড়ে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন ডাকাতেরা। তারা তাঁকে মারধরও করেন। এরপর আনিছুর রহমানের বড় ছেলে মাহিমকেও মারধর করে হাত-পা বেঁধে ও গলায় চাকু ধরে ব্যাপক লুটপাট চালায় ডাকাতেরা।
তিনি আরও জানান, ডাকাতদল তার ঘর থেকে প্রায় তিন লাখ নগদ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে। ডাকাতদের সবার মুখে কাপড় থাকায় তাদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। ঘরে ঢুকেই সবাইকে জিম্মি করে লুটতরাজ চালায় ডাকাতেরা। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় আজ বৃহস্পতিবার জামালপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী চায়না বেগম।
এ প্রসঙ্গে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, জামালপুর শহরের যোগীরঘোপায় আনিছুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা শুনে ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ সদস্যরা পরিদর্শন করেছেন।
জামালপুর সদর থানার পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় তার স্ত্রী চায়না বেগম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।