কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ডাম্প ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ওই পরিবারের আরও দুই শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে টৈটং ইউনিয়নের হাজীবাজার এলাকায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম মাদার্শা এলাকার ফিরোজ আহমদ (৪৯), তার স্ত্রী শাহিন আকতার (২৯) ও তাদের ৬ মাস বয়সী সন্তান জাহেদুল ইসলাম, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক পেকুয়ার ধনিয়াকাটা এলাকার মনিরুল মান্নান (২২) এবং উজানটিয়া ইউনিয়নের সোনালী বাজার এলাকার আবদুর রহমান (৩২)।
এ দুর্ঘটনায় নিহত ফিরোজ-শাহিন দম্পতির আরও দুই সন্তান শাহেদ (৭) ও জান্নাত (৪) আহত হয়েছে। তারা চকরিয়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল সোয়া সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে যাত্রীবাহী অটোরিকশার সঙ্গে ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হন। আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার তিন সন্তানকে চকরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ছয় মাস বয়সী জাহেদুলের মৃত্যু হয়।
ফিরোজ আহমদ চকরিয়া পৌরশহরের হাসপাতাল রোডে একটি মোটর পার্টস ও গ্যারেজে চাকরি করতেন। কর্মস্থলের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে সপরিবার সেখানে থাকতেন। বাসাটির মালিক বলেন, ‘ফিরোজ আহমদের স্ত্রী শাহিন আকতার বাসে চড়তে পারেন না, বমি করেন। এ কারণে তারা অটোরিকশায় করে সপরিবার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে দুর্ঘটনার পরপর ফিরোজই তাকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ফিরোজ বলেছিলেন, বউ-বাচ্চাদের হাসপাতালে নিচ্ছেন, আমি যেন হাসপাতালে যাই। আমি হাসপাতালে যেতে যেতে ফিরোজও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।’
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পাঁচজনের মরদেহ পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ডাম্প ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে।