ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। বুধবার সেন্ট ভিনসেন্টে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শামীম পাটোয়ারি ১৭ বলে ৩৫ রানে ভর করে ১২৯ রান করে লিটন দাসের দল। জবাবে স্বাগতিকরা থেমে যায় ১০২ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানে আটকে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন।
রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দুই ওভারে ১৯ রান আসার পর তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ব্র্যান্ডন কিংকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তাসকিন আহমেদ, ৩ বল পর তিনি ফিরিয়ে দেন আন্দ্রে ফ্লেচারকেও।
একই ওভারে জোড়া ধাক্কা খাওয়া ক্যারিবিয়ানদের তখনও ভরসা হয়ে ছিলেন জনসন চার্লস। এই ওপেনার ভালো কিছুর আভাসও দিচ্ছিলেন, তবে শেখ মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন ১৪ রান করে। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও নিকোলাস পুরান মেহেদীর বলেই স্লিপে সহজ ক্যাচ দেন।
শূন্য রানে জীবন পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে ফিরে গেলে আশা নিভে যায় স্বাগতিকদের। খানিক পর রোমারিও শেফার্ডের উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় তারা।
এরপর আকিল হোসেনকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি আনেন রোস্টন চেজ, তবে তাতে লেগে যায় ৪৯ বল। ম্যাচের সমীকরণ ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়লে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি তারা। রিশাদ হোসেনের এক ওভারে ৩৩ বলে ৩২ করা চেজের পর পরই খালি হাতে বিদায় নেন গুডাকেশ মোটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিলো না। এদিন ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস। তাতেও লাভ হয়নি, আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন ২ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমবার তিনে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ তানজিদ হাসান। ৪ বলে ২ রান করে তিনি বোল্ড রোস্টন চেজের।
সৌম্য সরকার উইকেটের আচরণ বুঝে টিকে থেকে রান আনার চিন্তায় ছিলেন। আফিফ হোসেনের বদলে আরেক পাশে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ দুবার জীবন পেলেও রান বাড়াতে পারছিলেন বাকিদের থেকে বেশি। এই দুজনের জুটিতে ৩১ আসার পর রান আউটে বিদায় নেন ১৮ বলে ১১ করা সৌম্য । আলজারি জোসেফের বলে পুল করে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ২৬ করা মিরাজ।
রিশাদ হোসেনকে আগে নামিয়ে লাভ হয়নি, রান পাননি শেখ মেহেদী হাসানও। তবে গোটা সিরিজে ঝলক দেখানো জাকের আলি অনিক এদিনও থিতু হয়েছিলেন। যদিও স্লগ ওভারে দ্রুত রান আনার তাড়া মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২০ বলে ২১ করা ব্যাটার।