
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস আজ। ইতিহাসের এই দিনে সীমাহীন জুলুম-নিপীড়ন আর নির্মম হত্যাযজ্ঞের শৃঙ্খল ভাঙে বীর বাঙালি জাতি। পাকিস্তানী বর্বর শত্রুর নাগপাশ ছিন্ন করে আজকের এই দিনেই পৃথিবীর মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ`নামের একটি রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
মহান এই দিবসটি একই সাথে বেদনারও। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনমিয়ে বাস্তবে রূপ লাভ করেছে আজকের এই গৌরবান্বিত দিনটি। এই দিনের মুক্ত আলো-বাতাসে বাঁচার সুযোগ করে দিতে অগণিত মা-বোন তাঁদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন। ৫৪তম বিজয়ের গৌরবান্বিত দিনটিকে জাতি আজ কৃতজ্ঞচিত্তে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। স্মরণ করবে অকাতরে জীবন বিলিয়ে সেই শহীদদের। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
আজ রাজধানীসহ সারা দেশের সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার, জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করবে। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পতাকা ও ফুল হাতে নামবে অগণিত মানুষের ঢল।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর তথ্যমতে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘আসুন ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।’