
লোহিত সাগরপাড়ে ৫ ডিসেম্বর বসেছিল তারার মেলা। জেদ্দার আল বালাদ শহরে রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জড়ো হয়েছিলেন হলিউড, বলিউড, কোরিরিয়ান, ইরানি, মিশরীয় ও বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়ার বাঘা বাঘা সিনেমা পরিচালক আর তারকারা। রেড কার্পেটে তাদের ঝলমলে উপস্থিতি দেখেছে বিশ্ব। ১২দিনের সেই উৎসব শেষ হলো ১৪ ডিসেম্বর।
ক’বছর আগেও সৌদি আরবে এমন আয়োজনের কথা কল্পনাতেও আসতো না। অথচ গেল তিন বছর ধরে সিনেমা নিয়ে সারা দুনিয়া তোলপাড় করা মহাযজ্ঞ করে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে সৌদি সরকার। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এবার ছিল চতুর্থ আসর। এবার তিউনিসিয়ার পরিচালক লুতফি আচৌর পরিচালিত ‘রেড পাথ’ সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য মর্যাদাপূর্ণ গোল্ডেন ইউসর পুরস্কার পেয়েছে।

ছবিটির গল্প একটি যুদ্ধকালীন অঞ্চলের মানসিকভাবে আহত এক শিশুর অসাধারণ যাত্রা নিয়ে। এর মাধ্যমে, তিউনিসিয়ার সিনেমার বিকাশ, দেশটির কারুশিল্প এবং স্বতন্ত্র উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পরিচালক তার দেশের শিশুরা কেমন আছে, কতটা ভয়ংকর মানসিক অসুস্থতা নিয়ে তারা বেড়ে উঠছে, বিশ্ববাসীর কাছে তা দেখাতে চেয়েছেন। সিনেমাটি পরিচালকের তৃতীয় ফিচার ফিল্ম। এই সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতাও নির্বাচিত হয়েছেন লুতফি।
উৎসবের মূল ফিচার ফিল্ম প্রতিযোগিতার জুরি সভাপতি ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক স্পাইক লি। যিনি সঙ্গী হিসেবে মিশরীয় পরিচালক আবু বাকর শওকি, যুক্তরাজ্যের অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার, তুর্কি অভিনেত্রী তুবার বয়ুকস্তুন এবং মার্কিন অভিনেতা-প্রযোজক ড্যানিয়েল ডে কিমকে সাথে রাখেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং ভায়োলা ডেভিসকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়। রেড সির এবারের আসরে উপস্থিত ছিলেন সিনথিয়া এরিভো, মিশেল ইয়ো, বেঞ্জামিন কুম্বারব্যাচ, মাইকেল ডগলাস, ক্যাথরিন জেটা-জোনস, অলিভিয়া. এমিলি ব্লান্ট, এবং ইভা লংগোরিয়ার মতো তারকারা।
উৎসবে সিলভার ইউসর ফিচার ফিল্ম পুরস্কার অর্জন করেছে মাহদি ফ্লেইফেলের ‘টু এ ল্যান্ড আননুন’। যা ফিলিস্তিনি যুবকদের চিরকালীন নির্বাসনের যন্ত্রণা নিয়ে তৈরি গল্প। লরেন্স ভ্যালিন পরিচালিত এবং অভিনীত চলচ্চিত্রটি আল-উলা অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম পুরস্কার লাভ করেছে এবং হোবাল জিতেছে আল-উলা অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড সৌদি ফিল্ম। এ বছর রেড সি চলচ্চিত্র উৎসবের মূল থিম ছিল ‘দ্য নিউ হোম অফ ফিল্ম’। এবারের উৎসবে ৮১টি দেশের ১২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।