
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও এরপরেই প্রধান উপদেষ্টা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা জানানো শেষে সর্বস্তরের মানুষ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা জানান শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরাও। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও রাজধানীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর ও রায়েবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখে।
১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট-আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারও কারও শরীরে একাধিক গুলি ও অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্তও করতে পারেননি।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। এতে বৈষম্যহীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন দেশ গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নির্মমভাবে। দিনটিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহতেরও আহ্বান জানান তিনি।