ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির অন্যতম তিন সহযোগী সংগঠন-যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে।
কর্মসূচিকে ঘিরে স্থলবন্দর এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আখাউড়া স্থলবন্দরে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে গ্রাম পুলিশ, থানা–পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের।
এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
পাশাপাশি আখাউড়া স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া রিজার্ভেও বিজিবি সদস্যদের একটি দল রাখা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান, বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
এর আগে আজ সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। কিন্তু সকাল সাতটার পর থেকেই বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।
সেখানে লংমার্চ শুরর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি, এই স্বাধীনতা বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়?’
আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে লংমার্চের বহর স্থলবন্দর মাঠে পৌঁছে। সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ করবেন আয়োজকরা।