
৩৫ মিনিট খেলে চোটের কারণে এমবাপ্পেকে তুলে নিতে বাধ্য হন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বাঁ ঊরুতে অস্বস্তি বোধ করছিলেন ফরাসি ফরওয়ার্ড। এমবাপ্পেকে নিয়ে এটুকু যদি শঙ্কার হয়, তবে মাঠের ওই ৩৫ মিনিট রিয়াল সমর্থকদের জন্য ছিল আরও আনন্দের। প্রত্যাশিত এমবাপ্পেকেই দেখলেন তারা।
বেরগামোয় আতালান্তার বিপক্ষে রিয়ালের ৩-২ গোলের জয়ে প্রথম গোলটি আসে এমবাপ্পের পা থেকে। ১০ মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজের এগিয়ে দেয়া বলটি বাঁ পায়ে রিসিভ করেছেন এমনভাবে, যেন ডিফেন্ডার বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগই না পান। তারপর স্ট্রাইকারসুলভ শটে গোল। ওই গোল এমবাপ্পেকে পৌঁছে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের অভিজাত ক্লাবে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ৭৯ ম্যাচে ৫০ গোল এমবাপ্পের। ইউরোপসেরার এই আসরে দ্রুততম ৫০ গোলের দৌড়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ফেললেন পেছনে। যেখানে পৌঁছাতে রোনালদোর লেগেছিল ৯১ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস লিগে দ্রুততম ৫০ গোলের তালিকায় এমবাপ্পে এখন চতুর্থ। এই তালিকায় প্রথম তিনজন হলেন- রুড ফন নিস্টলরয়, লিওনেল মেসি, এবং রবার্ট লেভানডভস্কি।

চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র ১৭ বছর বয়সে অভিষিক্ত এমবাপ্পে নাম লিখিয়েছেন আরও একটি তালিকায়। কাল রাতে ৫০তম গোলটি করেছেন ২৫ বছর ১১ মাস ২০ দিন বয়সে। সেখানে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোলের ‘ফিফটি’ হলো এমবাপ্পের। সর্বকনিষ্ঠের রেকর্ডটি মেসির—২৪ বছর ২৮৪ দিন বয়সে।
এখানেও রেকর্ড করতে গিয়ে সিআরসেভেনকে পেছনে ফেললেন এমবাপ্পে। ২৮ বছর ২ মাস ৭ দিন বয়সে ৫০ গোল করে এত দিন দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠের জায়গার দখল ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর। এমবাপ্পে উঠে আসায় এখন তিনে পর্তুগিজ কিংবদন্তি।
ম্যাচের পর সবটা জেনেই হয়তো নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলের স্টোরিতে রোনালদোর ছবি পোস্ট করেছেন এমবাপ্পে। ম্যাচের চারটি ছবি দেয়ার পর পঞ্চমটি ছিল রোনালদোর। দুই হাতের আঙুল দিয়ে কিছু একটা বোঝানোর ছবিতে এমবাপ্পে দিয়েছেন মুখ বন্ধ রাখার ইমোজি।
গত জুনে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর এমবাপ্পে প্রত্যাশা মেটাতে পারছিলেন না ক্লাবটির। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে ২২ ম্যাচে তার ১২টি গোল হলেও লা লিগায় অ্যাথলেটিক বিলবাও ও চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেন। কাল রাতে গোল করে পেনাল্টি মিস নিয়ে সমালোচনা তো বন্ধ করলেন, সাথে রোনালদোকেও সম্ভবত ইশারায় বললেন মুখ বন্ধ রাখতে!