মিঠুন চক্রবর্তীর মেয়ের নাম দিশানী চক্রবর্তী । মিঠুনের চক্রবর্তীর সঙ্গে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই, দত্তক নেওয়া কন্যা তবুও মিঠুনের চক্রবর্তী সবচেয়ে কাছের মানুষ সে। গল্পটি অনেক দিন আগের। কলকাতার এক ডাস্টবিনের পাশে একটি কন্যা শিশু পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। পুলিশ খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
তারপর শিশুকে রাখা হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বে। সেখান থেকেই বাড়িতে নিয়ে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী। নাম দেন দিশানী, পরবর্তীতে আইনি কাগজপত্রে সই করে দিশানীকে দত্তক নেন এই দম্পতি । সেই থেকে দিশানী চক্রবর্তী পরিবারের চোখের মণি।
সকলেই তাকে প্রচণ্ড ভালবাসেন, আগলে রাখেন বিশেষ করে মিঠুন চক্রবর্তী। এবার মেয়েকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন অভিনেতা মিথুন চক্রবর্তী। রিয়ালিটি শো ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন মিঠুন ।
সেখানেই এক প্রতিযোগী কনকাঞ্জলি প্রসঙ্গ নিয়ে একটি নাচ প্রদর্শন করেন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, বিবাহের পর হাতে চাল নিয়ে তা মায়ের কাছে দিয়ে মেয়েরা বাবা-মায়ের ‘ঋণ শোধ’ করে থাকেন। এ প্রথা বহুদিন ধরে চলে আসছে। মেয়ের কষ্ট, বাবা মায়ের অসহায়ত্বই ফুটে ওঠে ওই নাচের মধ্যে দিয়ে।
এরপরেই শো-র অন্যতম বিচারক শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় মিঠুনকে প্রশ্ন করেন, ‘এমজি তোমার সঙ্গে তোমার মেয়ের কেমন সম্পর্ক?’ সেই কথা বলতে গিয়েই গলা ধরে আসে মিঠুনের।
সেই ধরা গলাতেই তিনি সম্ভবত মেয়েকে বিয়ে দেওয়া ও বিদায়ের কথা মনে করে কার্যত কাঁদতে কাঁদতে বলে ফেলেন, ‘যেদিন হবে সেদিন আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই মারা যাব।’
এরপরেই চোখ দিয়ে জল গড়াতে থাকে অভিনেতার। শ্রাবন্তীর চোখও তখন জলে ভরে উঠেছে। ভিডিওটি প্রকাশ পেতেই মিঠুন ভক্তরাও নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘যত বড়ই সুপারস্টার হন না কেন? দিনশেষে তিনিও তো একজন বাবাই।’
মিঠুন কন্যা দিশানী চক্রবর্তী কিন্তু ভীষণ সুন্দরী । ইনস্টাগ্রামেও রয়েছে প্রায় এক লাখ অনুরাগী বর্তমানে মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, বাবা-ভাইদের মতো ফিল্মি দুনিয়াতেই নাম লেখাতে চান তিনি ।