সিরিয়ায় সরকারহীনতার সুযোগ নিয়েছে দখলদার প্রতিবেশি ইসরায়েল। বিদ্রোহীদের কাছে পরাজিত হয়েছে দেশ ছেড়েছেন কর্তৃত্ববাদী শাসক বাশার আল আসাদ। তার পতনের পর দেশটিতে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা। সরকার পতন ও নতুন সরকার গঠনে প্রস্তুতির এমন সন্ধিক্ষণে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদি দেশটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান রাজধানী দামেস্কসহ সারাদেশে কয়েক ডজন হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ১০০টির বেশি হামলা হয়েছে। এসওএইচআর বলেছে, সিরিয়ায় গত দুই দিনে শত শত ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। এর মধ্যে দামেস্কের একটি স্থাপনা রয়েছে, যা ইরানি বিজ্ঞানীরা রকেট তৈরির জন্য ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, আসাদ সরকারের পতনের পর ‘চরমপন্থিদের হাতে’ অস্ত্র যাওয়া বন্ধ করতে অভিযান চালাচ্ছে তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলা হচ্ছে, হামলায় রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত একটি গবেষণা কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সিরিয়ার কোথায় বা কতগুলো রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে তা জানা যায়নি, তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এই ধরনের অস্ত্রের মজুদ রেখেছিলেন এবং তিনি যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা অসম্পূর্ণ ছিল বলে মনে করা হয়।
এদিকে সিরিয়ায় সরকারহীনতার সুযোগ নিয়ে গোলান মালভূমি দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। ১৯৭৪ সালে ওই মালভূমি নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সকে গোলানের সিরিয়ার অংশে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আসাদের পতনের পর দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছে।