
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুটা কমেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের পতন এবং চীন সরকারের নীতিগত প্রণোদনার অঙ্গীকারের কারণে গতকাল বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছিল।
বৈশ্বিক বাজারে আজ সকালে ব্রেন্টক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭২ দশমিক ০১ ডলারে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ডব্লিউটিআই ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে ৬৮ দশমিক ২৩ ডলারে নেমে এসেছে। এর আগে গতকাল এই উভয় ধরনের তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছিল।
এএনজেড রিসার্চের এক নোটে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সিরিয়ায় সরকার পতনের কারণে তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া তেলের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দেশ না হলেও তাদের কৌশলগত অবস্থান এবং রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্কের কারণে বাসারের পতন মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে।
এছাড়া চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। চীন সরকার অর্থনীতিতে গতি আনতে মুদ্রানীতিতে আরও শিথিলতা আনবে, এমন ইঙ্গিতের ফলে তেলের দাম বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নভেম্বরে চীনে বাণিজ্যের পরিসংখ্যানের দিকেও তাকিয়ে আছে বিশ্ববাজার, আজ তা প্রকাশিত হওয়ার কথা।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, দাম কমে যাওয়ার কারণে এখন তেল কেনার সুবর্ণ সময়। তাঁদের পূর্বাভাস, তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭২ দশমিক ৫০ ডলার পর্যন্ত উঠবে।