২০২১ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপই ছিল ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের সর্বশেষ খেলা। সেবার ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল ম্যাচ। ভারতের মাটিতে দুই দলের লড়াই হয়েছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে। সেই ম্যাচও হয়েছিল ১-১ গোলে ড্র। গতকাল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ২০২৭ সালে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে গ্রুপ ‘সি’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর।
২০২৫ সালের ২৫ মার্চ ভারতের মাটিতে গ্রুপের প্রথম ম্যাচ খেলবে জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণরা। সেই ম্যাচ নিয়ে এখনই রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ‘ড্রয়ে আমরা চ্যালেঞ্জিং গ্রুপে পড়েছি, কিন্তু এই গ্রুপ নিয়ে আমি ভীষণ রোমাঞ্চিতও। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি অসাধারণ হবে আমাদের জন্য।’ ২৪ দল ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলবে ম্যাচগুলো।
সব শেষ ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী পট-৪-এ জায়গা হয় বাংলাদেশের। গ্রুপের চার দলের মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ, ১৮৫তম। এই গ্রুপের শীর্ষ দল ভারত, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান ১৩৭তম। পট দুই থেকে এসেছে হংকং এবং তিন নম্বর থেকে সিঙ্গাপুর। এক নম্বর পটে ছিল ভালো র্যাঙ্কিংয়ের ছয়টি দল। তবে নিজেদের গ্রুপে ভারতকে পাওয়ায় খুশি ক্যাবরেরা, ‘এক নম্বর পটে আরও শক্তিশালী দল ছিল। আমরা ভারতকেই চাইছিলাম। এশিয়ান গেমসে ভারতের বিপক্ষে খেলেছি গত বছর। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ সব সময় ব্যতিক্রম।’
গ্রুপটি আকর্ষণীয় হয়েছে বলে মনে করেন এ স্প্যানিস, ‘গ্রুপটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ও আকর্ষণীয়। তিনটি দলই আমাদের প্রায় সমশক্তির। আমরা ৬ ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব এবং জয়ের সম্ভাবনা থাকবে।’
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা ক্যাবরেরার সঙ্গে বাফুফের চুক্তি শেষ হচ্ছে এ মাসেই। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন চুক্তি না হলেও বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ক্যাবরেরাকেই রাখতে চান। চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ কোচও, ‘এখনও ২০ দিন বাকি রয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার। আমাদের আলোচনা চলমান। আমি আশাবাদী বাংলাদেশের হয়ে কাজ করার জন্য।’