‘দেশের আপামর জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দী থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ অধ্যায় স্মরণ করিয়ে দেয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়।’
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দেশ দীর্ঘ একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যে–ই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার যাত্রা। জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং কেউ আর নিপীড়িত হবে না। মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে।’
এ মুহূর্তে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ বলে জানান বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবার এগিয়ে আসতে হবে, জাতিসংঘ–ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক সবার দৃঢ় অঙ্গীকার – বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।