পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের সিংহভাগই মূলত পাথর হলেও গেলো কয়েক বছর ধরে বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি মেলায় এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। চলতি বছরেও এই বন্দর দিয়েই ভারত থেকে এসেছে দ্বিতীয় দফায় ১০০ টন আতপ চাল। গতকাল রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চারটি ট্রাকে এসব চাল এসে পৌঁছায় বন্দরটিতে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৬ নভেম্বর ৪টি ট্রাকে ৯৯ দশমিক ৯৩ টন চাল আমদানি করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকালও ৪টি ট্রাকে ১০০ দশমিক ২২ টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
গতকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পণ্যটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ ও সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সঙ্গনিরোধ কীটতত্ত্ববিদ মো. আবু মোহাদ্দেস বলেন, ‘আমরা মূলত আমদানি করা পণ্যের সঙ্গে কোনো কোয়ারেন্টিন পেস্ট আসছে কি না, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। গতকাল আমদানি করা চালও আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি। সেগুলো উদ্ভিদের রোগবালাইমুক্ত ছিল।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু হয়। এই বন্দর দিয়ে দিনে অন্তত ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাকে পণ্য আমদানি এবং অন্তত ৫০ থেকে ১০০টি ট্রাকে পণ্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যের সিংহভাগই পাথর।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর বেশ কয়েক বছর পর বন্দরটি দিয়ে ১০০ টন চাল দেশে আনা হয়েছিল। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রহর ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এ পরিমান চাল আমদানি করা হয়।