মাদারীপুর জেলার শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার লাঠির আঘাতে আইরিন আক্তার ১৮ নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের গোমস্তা কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইরিন ওই এলাকার ফরহাদ গোমস্তার মেয়ে ও সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে ফরহাদ গোমস্তার কলহ চলছিল। রোববার সকালে মেয়ে আইরিন ঘুম থেকে দেরিতে উঠে। এ নিয়ে বাবা-মেয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবা কাঠ দিয়ে মেয়েকে পেটাতে থাকেন। মারধরের সময় মেয়ের মাথায় আঘাত পেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, বাবা-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেছিল। এসময় বাবা তার মেয়েকে কাঠ দিয়ে পেটান। একপর্যায় মাথায় আঘাত লাগলে মারা যায় মেয়ে। ঘটনার পর পালিয়ে যান ফরহাদ গোমস্তা।
নিহতের মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমি রান্না করতেছিলাম। ঘরের মধ্যে চেঁচামেচির শব্দ পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি, মেয়ে আইরিন মাটিতে পড়ে আছে। আশেপাশের লোকজনও তখন ছুটে আসে। হাসপাতালে আনতে আনতেই মেয়েটি মারা গেলো।’
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারজানা আক্তার বলেন, সকালে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসে তার মা। শরীরে আঘাতের পাশাপাশি মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। হাসপাতালে আনার আগেই মেয়েটি মারা যায়।
শিবচর থানার ওসি মোকতার হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জের থেকেই সকালে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েকে কাঠ দিয়ে পেটায় এবং মাথায় আঘাত লাগলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের বাবা পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।