সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতন ঘটেছে। দেশ ছেড়ে অজ্ঞাত গন্তব্যে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তবে রাজধানী দামেস্কেই আছেন আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাজি আল-জালালি। এখন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার প্রশাসন থাকবে তার হাতে।
তিনি জানান, নিজের বাড়ি কিংবা দামেস্ক ছেড়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে কাজ করবেন তিনি।
আল-জালালি বলেছেন, আমরা বিদ্রোহীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। তারাও হাত বাড়িয়েছে। দৃঢ়ভাবে বলেছি যে তারা এই দেশের কারও ক্ষতি করবে না।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি আরও বলেন, এই দেশটি একটি স্বাভাবিক দেশ হতে পারে যেটি তার প্রতিবেশী এবং বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে। তবে এটি সিরিয়ার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে। আমরা এটিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এবং সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত। এসময় জনগণকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে, বিদ্রোহী দলের প্রধান জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে।
সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলো সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বলছে, ‘আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আমরা সেদনায়া কারাগারে অত্যাচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। এই কারাগারের সব বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছি।’