আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে রোববার থেকে কাজ শুরু করেছেন জয় শাহ। এরপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য হাইব্রিড মডেল বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন হবে। এখন থেকে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে দুই দেশ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে। তার মানে পিসিবির দেওয়া ‘ভারত-পাকিস্তান চিরস্থায়ী হাইব্রিড বন্দোবস্ত’ মেনে নিচ্ছে বিসিসিআই।
আট দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরো আসর দেশে আয়োজন করতে চেয়েছিল পিসিবি। কিন্তু পাকিস্তানে দল পাঠাবে না ভারত। তারা হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেয়। শুক্রবার আইসিসির সভায় দুই শর্তে ওই মডেলে পাকিস্তান রাজিও হয়েছে। যার একটি– ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। ভারতে আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে তাদের ম্যাচও হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। পিসিবি এর নাম দিয়েছে পার্টনারশিপ মডেল।
অন্য শর্তটি হলো– চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হওয়া ম্যাচের নিরাপত্তার দায়িত্ব পিসিবি নেবে না। নিরাপত্তার ব্যবস্থা, দায় ও দায়িত্ব নিতে হবে আইসিসির। পিসিবির এমন শর্তে তাৎক্ষণিক রাজি হয়নি ভারত। আইসিসির সভায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আলোচনা শুরুতেই এক প্রকার শেষ হয়ে যায়। কারণ ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসির চারটি টুর্নামেন্ট হবে ভারত। এর মধ্যে আছে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০৩১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২৫ সালে এশিয়া কাপ ও নারীদের বিশ্বকাপ এবং ২০২৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একক আয়োজক ভারত।
সভা শেষে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলেন, ‘বেশি কথা বলব না। এতে আলোচনা পণ্ড হতে পারে। শুধু বলব, শেষ পর্যন্ত যেন ক্রিকেটের জয় হয়। মডেল যা-ই হোক, তাতে সমতা থাকতে হবে।’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন পরে দাবি করেছে, পিসিবির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বিসিসিআই। তারা পরবর্তী টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনে সম্মত। তবে মৌখিক আশ্বাস নয়, আইসিসি থেকে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা চায় পিসিবি। বিষয়টি নিয়ে পিসিবির একটি সূত্র ডনকে বলেছে, ‘আগেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, যার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আইসিসিকে তাই পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে।’