জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে হাসান আরিফের মরদেহ সিএমএইচের হিমগরে রাখা হয়েছে। হাসান আরিফের মেয়ে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ বলেন, সোমবার মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করবো। সময়টা জোহরের আগেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হাসান আরিফ। পরে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৭ নম্বরের বায়তুল আমান মসজিদে গতকাল বাদ এশা হাসান আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসান আরিফের মরদেহ তাঁর দীর্ঘদিনের প্রিয় কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আনা হয়। এরপর ইনার গার্ডেনে জানাজা হয়।
আদালত প্রাঙ্গনে জানাজার আগে মরহুমের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফ। স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন হাসান আরিফের জুনিয়র আইনজীবী আশিক আল জলিল।
হাসান আরিফ সম্পর্কে স্মৃতিচারণা ও বক্তব্য দেওয়ার কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন হাসান আরিফ। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র এই আইনজীবী। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।