সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্দেশনায় বিদেশ ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ পরিহার করতেও দেয়া হয়েছে জোরালো নির্দেশনা।
আগের আদেশ ও নির্দেশনার আলোকে নতুন করে ১৩ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার স্বাক্ষরে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
১৩ দফা নির্দেশগুলো হলো:
* সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা
* বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটি তালিকা জানিয়ে রাখা
* বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডেটাবেজ তৈরি করা (প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে)
* সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করা
* মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করা
* বিদেশে অনুষ্ঠেয় সেমিনার বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য তথ্য সন্নিবেশ করা
* ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ওই কাজে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ করা
* কেনাকাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন বা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেন্ট্যান্স টেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করা
* সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করা
* সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তার বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ পরিহার
* সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষণ ছুটিতে যাওয়া পরিহার
* বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণের বিস্তারিত সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীন অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানেরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে কোভিড-১৯-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ বা সীমিত করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।