জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে লস এন্ড ড্যামেজ তহবিলে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়েনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এবারের জাতিসংঘ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এর উদ্বোধনী দিনেই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব ফোরামে দর কষাকষি শুরু করেছেন সরকারি-বেসরকারি বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, কপ-২৯ সম্মেলনে অংশ নিতে ৪ দিনের সফরে সোমবার বিকেলে বাকুতে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। এদিন বিশ্বনেতাদের সাথে কথা বলবেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবারের সম্মেলন থেকে জলবায়ু অর্থায়নে সুস্পষ্ট অগ্রগতি ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার দাবি ছাড়াও বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জীবাশ্ম জ্বালানি কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। এ আলোচনায় ২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন দেশ তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উন্নত বিশ্ব শিল্পায়নের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিরূপণ করে এমন অনেক পরিসংখ্যানে ভারত, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বকে এর জন্য দায়ী বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
এবারের সম্মেলনকে ঘিরে পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে বাকু শহরকে। বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা। মধ্য এশিয়ার ইউরোপীয়ান ধাঁচের এই শহরে জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ্যে এসেছেন ২৫ হাজারেরও বেশি অতিথি। এরমধ্যে অন্তত ৬০ জন আছেন বিভিন্ন দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান। সম্মেলনে জাতিসংঘের এ্যাক্রিডিটেট অংশগ্রহণকারীদের জন্য ফ্রি করে দেয়া হয়েছে বাকু শহরের বাস, ট্রেন ও মেট্রো। আগামী ১২ দিন এই সুবিধা বহাল থাকবে।