খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ দোকানেই দেশি পেঁয়াজ নেই, তারা আমদানি করার পেঁয়াজ বিক্রি করছে প্রতি কেজি ১৩০ টাকায়। এছাড়া কিছু কিছু খুচরা দোকানে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বেশিরভাগ ক্রেতার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি যাচ্ছে, এখন এসে আরেক দফা বেড়েছে। কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার সংশ্লিষ্টদের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
ক্রেতারা বলেন, দাম বেশি হওয়ায় প্রতিটি জিনিসই প্রয়োজনের অর্ধেক কিনতে হচ্ছে। ক্রেতাদের প্রশ্ন, যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তারা কীভাবে এই পেঁয়াজ কিনবে? নিম্ন আয়ের মানুষের কথা কেউ ভাবে না বলে এসময় অভিযোগ করেন ক্রেতারা।
পেঁয়াজের বাড়তি দাম বিষয়ে রামপুরা এলাকায় খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মি. মিন্টু জানান, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি, তাই বেশি দামে কেনা পড়ছে আমাদের। আসলে এই সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক কম, আর বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ থাকলেও সরবরাহ বাজারে কম। আমরা খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি করছি। দাম বাড়ার পর থেকে আমাদের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে, বিক্রি কমে গেছে পেঁয়াজ। আগে যদি ক্রেতারা এক কেজি পেঁয়াজ কিনতো দাম বাড়ার পর এখন কিনছে আধা কেজি। আবার যেই ক্রেতা ৫ কেজি কিনতো সে কিনছে ২ কেজি। দাম বাড়ার পর এভাবে আমাদের বিক্রি কমে গেছে।
এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৭.২৭ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।