দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন দিতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১২ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গ্রুপটি এরই মধ্যে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় এবং একক ঋণগ্রহীতার সীমা অতিক্রম করায় নতুন করে তাদের আর ঋণ পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা থেকে জনতা ব্যাংককে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। ফলে বেক্সিমকোকে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকটি।
এদিকে তারল্যসংকট ও আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংক রেটে (সুদে) ৫ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা ধার চেয়েছে জনতা ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যাংকটি সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মূলধনের জোগান চেয়েছে।
জনতা ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটিতে আমানত ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। আর ব্যাংকটির দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৮ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। চলতি ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণ বেড়ে হবে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তাতে বছর শেষে লোকসান বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এদিকে প্রতি মাসে বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে তিন মাসের বেতন দিতে ১৮০ কোটি টাকা প্রয়োজন।