ভারতসহ সাতটি দেশকে ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। এই তালিকার অন্য দেশগুলো হলো– রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, ভুটান, কিউবা ও ভেনেজুয়েলা। এসব দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৈধতার নথি না থাকা অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় তারা যথাযথ সহযোগিতা করে না। এ ধরনের অসহযোগিতা কূটনৈতিক সম্পর্কেও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতোমধ্যেই অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এটা ছিল তার অন্যতম অস্ত্র।
আইসিইর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈধতার কাগজপত্র না থাকা ১৪ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। এদের মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয় আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রাম্পই সবচেয়ে বড় অভিবাসীবিরোধী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি জানান, নিজ দেশে বৈধতার নথি না থাকা অভিবাসীদের খোঁজ পেতে তিনি সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগাবেন। পাশাপাশি মেক্সিকো সীমান্তেও নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলেন তিনি। শুধু অভিবাসীই নয়, আরেকটি বিষয়ে ভারতের প্রতি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করলেও তিনি বলেছেন, ভারত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। এ জন্য তিনি পাল্টা তাদের ওপর বড় শুল্ক আরোপ করবেন।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন বছরে ৯০ হাজার ভারতীয় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই গুজরাট, পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধতার নথিপত্র না থাকা অভিবাসীর তালিকায় ভারতীয়রা শীর্ষে নয়। সবচেয়ে বেশি হন্ডুরাস ও গুয়েতেমালার অবৈধ অভিবাসী সেখানে রয়েছেন। এ সংখ্যা যথাক্রমে ২ লাখ ৬১ হাজার ও ২ লাখ ৫৩ হাজার।