স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে বলা হয়- সংস্কার রাজনৈতিক সরকার করবে। কিন্তু যে অবস্থায় আমরা ছিলাম তা থেকে একটা জায়গায় পৌঁছাতে কিছুক্ষেত্রে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই দরকার। নির্বাচনের জন্যই এত কিছু হয়েছে। ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব না।’
রোববার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য-বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই রাষ্ট্র ও সমাজের ভালো চাই। এটা আমাদের ঐক্যমতের ভিত্তি। আমার মনে হয়েছিল আমার জীবদ্দশায় শেখ হাসিনার পতন দেখতে পারবো না। কী থেকে কী হয়ে গেলো, এটা কেউ ভাবতে পারেনি। মা তার সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। আমরা দীর্ঘদিন মুখ বন্ধ করে ছিলাম। এখন সেই বাধামুক্ত। আমরা এখন কথা বলতে পারছি। কিন্তু তার মানে এই নয়, যা ইচ্ছা তাই বলতে হবে। যারা নীতি নির্ধারণে আছেন তাদের সব কিছু নিয়েই ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে রাস্তায় মেরে ফেলা হয়েছে। চট্টগ্রামবাসী সব মন্দির জ্বালিয়ে দিলে কী হতো? কিন্তু কিছু হয়নি। এটাই জাতির ম্যাচিউরিটি। গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে সবার কথা বলা যাবে, সবাই ভালো থাকবে। গণতন্ত্র না থাকলে কিছুই থাকবে না। শুধু অর্থনীতি দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চালাতে হলে রাজনৈতিক অর্থনীতি দরকার। অর্থনীতি ও রাজনীতির মেলবন্ধন লাগে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রাজনীতিকরা দেশ চালাতে পারবে, কিন্তু আপনারা গণতন্ত্র পাবেন না। তাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। সংস্কার কমিশন শিগগিরই রিপোর্ট দেওয়ার কথা। তিন মাসের মধ্যে একটা পর্যালোচনা হোক। এখন কী করা যায়, নির্বাচিত সরকার কী কী করবেন- এগুলোর তো ধারাবাহিকতা লাগবে।’